মোবাইলের প্রসেসর কী এবং ভাল প্রসেসর চেনার উপায়

ভাল প্রসেসর চেনার উপায়


মোবাইলের প্রসেসর এর ক্ষেএে আজকে সিম্পিল একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিবো এটি কি ভাবে কাজ করে এবং কি ভাবে এটি তৈরি হয়। প্রসেসর কি ভাবে তৈরি হয় এবং এটা কি ভাবে কাজ করে এই বিষয়টা ভাল ভাবে জানার জন্য আমি একটা উদাহরণ দেই মনে করেন একটি গার্মেন্টসে তৈরি করার জন্য জায়গা প্রয়োজন আপনি জায়গা দিলেন এবার ওই জায়গায় গার্মেন্টসে তৈরি জন্য একজন আর্কিটেক নিলেন। আর্কিটেক এসে একটা গার্মেন্টসে তৈরি করে দিলো। মোবাইলের ক্ষেএে ঠিক তেমনি ডিজাইনার রয়েছে, আর্কিটেক রয়েছে আর এই নাম্বার 1 কোম্পানিটির নাম হলো ARM Cortex বর্তমানে Qualcomm KRYO ও Mediatek প্রসেসর ডিজাইনের কাজ করছে। আপনারা অনেক সময় শুনে থাকবেন বা পড়ে থাকবেন Cortex এর কথা এটা ARM এর একটা প্রসেসর ও KRYO এটা Qualcomm এর প্রসেসর। Qualcomm এর আরো একটি প্রসেসর আছে Snapdragon এটাও Qualcomm এর প্রসেসর Mediatek ও এখন ভাল প্রসেসর ডিজাইনে কাজ করছে। আর প্রসেসর ডিজাইন করার জন্য তেমন কেউ নাই তাই সব মোবাইল কোম্পানি এদের কাছ থেকে ডিজাইন নিয়ে থাকে। এখন এই আর্কিটেকের কাজ হলো তারা যে প্রসেসরটি তৈরি করবে সেটির ধারন ক্ষমতা কেমন হবে, তার ওপরে যে চাপটা আসবে সে কয়দিনে করতে পারবে এর ওপরে ভিত্তি করে প্রসেসর তৈরি করা হয়। মনে করেন আপনার একটি গার্মেন্টসে আছে একতাল আপনার কাছে যদি 1000 প্যান্ট তৈরির অডার আসে আপনার আছে 100 জন শ্রমিক আছে তাহলে যদি প্যান্ট তৈরি সময় লাগলো 8 দিন আর যদি 2 তালা হয় 200 জন শ্রমিক নিয়ে সময় লাগলো 4 দিন। সে ক্ষেএে মোবাইল প্রসেসর দিয়ে দেখতে গেলে Duel core, quard core, Octa core এই ভাবে প্রসেসর গুলো আপডেট করে তৈরি করা হয়। যতো কোর বেশি ততো তার ধারন ক্ষমতা বেশি। প্রসেসর ডিজাইনারা একটি প্রসেসর দিয়ে কেমন কাজ হবে, এর ওপরে লোড কেমন পড়বে এই সব দিক বিবেচনা করে প্রসেসর তৈরি করে থাকে। আপনার যে টোটাল কাজটি রয়েছে সেটা কয় জন মিলে করবে এটা হলো কোরের কাজ। এবার চলুন গার্মেন্টসে এর কাজের ভিতরে যে প্যাটান্টা রয়েছে সে গুলো দেখে নিই। এদের ভিতরে একটা গ্ৰুপ রয়েছে যারা কাপড়টা কি ভাবে কাটতে হবে সেটা ডিজাইন করে। ডিজাইন করে সে অন্য একটা গ্ৰুপের কাছে পাঠিয়ে দেয় সে গ্ৰুপের কাজ হলো শুধু কাপড় কাটা তারপর সে আরেকটা গ্ৰুপের কাছে পাঠিয়ে দেয় সে প্যান্টা সেলাই করে বাকি একটা গ্ৰুপ প্যান্টে পকেট লাগিয়ে দেয়। ধরে নিলাম যারা ডিজাইন করে তারা থাকে এক রুমে যারা কাপড়টা কাটে তারা থাকে অন্য এক রুমে এভাবে সব গ্ৰুপ গুলো আলাদা আলাদা ভাবে থাকে। এখন ডিজাইন করা রুম থেকে যদি কাপড় কাটা রুমের দূরত্ব বেশি হয় তাহলে কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন শ্রমিক বেশি লাগবে বা সময় বেশি লাগবে আর এই দূরত্বটা যদি কম হয় শ্রমিক কম লাগলো কাজের গতি ও বাড়লো সময় ও বাঁচলো আর এই দূরত্বকে ন্যানো মিটার বলে আর এই প্যান্ট অন্য রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করে তাদের বলে ট্রানজিস্টর। একটা প্রসেসরে কয়েক লক্ষ ট্রানজিস্টর থাকে আর এই ন্যানো মিটার বা দূরত্ব কম হলে ট্রানজিস্টর ভাল ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে কারন দূরত্ব কম হয়ে ট্রানজিস্টর বেশি হলে ডাটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। একটা প্রসেসর যতো ট্রানজিস্টর থাকবে ততো ভাল আর এই ট্রানজিস্টরে ডাটা ট্রান্সফার এর জয়েন্ট যতো চিকন হবে ততো দ্রুত এরা ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবে। তাই ট্রানজিস্টর যতো বেশি হবে প্রসেসরের জন্য ততো ভাল কারন ডাটা বেশি হলে ট্রান্সফার করতে সময় বেশি লাগবে আর ট্রানজিস্টর বেশি হলে কাজটা দ্রুত হয়ে যাবে। দূরত্ব কম হওয়ার কারনে আপনার সময়, শ্রমিক কম লাগছে এটাকে কিন্তু ন্যানো মিটার টেকনোলজি বলে। অনেক সময় দেখা যায় 10nm, 6nm, 8nm এই জিনিসটা হলো ওই প্রসেসরের যে ট্রানজিস্টর রয়েছে তার যে পিনটা রয়েছে বা জয়েন্টা রয়েছে সেটা। এটা যতো বেশি চিকন হবে তার ডাটা ট্রান্সফার এর ক্ষমতা বেশি, স্পিড বেশি, ততো পাওয়ার অ্যাপিসিয়েন্ট বেশি। 

ভাল প্রসেসর চেনার উপায়


কি ভাবে একটি ফোন সঠিক উপায়ে চার্জ দিবেন পড়তে এই লেখার ওপরে ক্লিক করুন

Vivo Y36 ফোনের বিস্তারিত পড়তে এই লেখার ওপরে ক্লিক করুন

এর পর যে জিনিসটা দেখবেন ফ্রিকোয়েন্সি । ফ্রিকোয়েন্সি বলতে বলা হয় স্পিড 1.4 গিগাহার্জ থাকে 2 গিগাহার্জ থাকে 1.7 গিগাহার্জ থাকে এটা কিসের স্পিড সেটা আপনাকে বলি। এই যে ধরেন যে ডিজাইন করছে, যে কাপড়টা কাটছে, যে সেলাই করে তাদের যে কাজ করার স্পিড এটাকে বলে ফ্রিকোয়েন্সি। যতো বেশি স্পিড হবে ততো ভাল হবে। অনেক সময় দেখা যায় একটা গ্ৰুপ খুব ফাস্ট কাজ করছে কিন্তু ডাটা পাঠাচ্ছে অনেক দূরে তখন যদি ন্যানো মিটারের থিকনেস অর্থাৎ ট্রানজিস্টরে থিকনেস যদি মোটা হয় তখন ডাটা পাঠাতে অনেক সময় লাগে। অনেক ফাস্ট কাজ করেও যখন ট্রানজিস্টরে থিকনেস মোটা হওয়ার কারনে ডাটা পাঠাতে দেরি হয় তখন প্রসেসরটা স্লো কাজ করে। প্রসেসরের অন্য সব গ্ৰুপ ফাস্ট কাজ করেও যখন ডাটা পাঠাতে দেরি হবে তখন কিন্তু প্রসেসরটি অনেক গরম হবে হ্যাঙ্গ করে। বর্তমান সময় দেখা যায় অনেক পাওয়ারফুল একটা প্রসেসর তাও হ্যাঙ্গ করে এটা ডাটা ট্রানজিস্টর এর পিন মোটা হওয়ার কারনে হয়ে থাকে। প্রসেসর অন্য গ্ৰুপ যখন ফাস্ট কাজ করে এবং ট্রানজিস্টর ঠিক মতো ডাটা ট্রান্সফার করতে না পারে তখন ল্যাগ, হ্যাঙ্গ, প্রসেসর হিটিং ইসু দেখা দেয়। এখনকার সময় Octa core এর প্রসেসরটা খুবই ভাল ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে তাই চেষ্টা করবে এই প্রসেসরটা কেনার জন্য। আমার মনে হয়  আপনারা মোটামুটি প্রসেসর সম্পর্কে বুঝতে পারছে নাম্বার 1 হলো-

ডিজাইন: টোটাল আউট লুকের যে ডিজাইনটা কোথায় কি বসবে না বসবে, কয়টা রুম হবে, কতো গুলো মেশিন বসবে গার্মেন্টসে এটা ডিজাইন করে ARM ও Qualcomm , Mediatek । ARM ডিজাইন করে তারা নাম দিয়ে দেয় Cortex আর Qualcomm নাম দিয়ে দেয় KRYO ও Mediatek দেয় Helio । এবার দ্বিতীয় জিনিসটা হলো -

কোর: দেখা গেল আপনার সেম ডিজাইনের দুইতালা বাড়ি আছে তাহলে ডুয়েল কোর চারতলা হলে কোয়াড কোর, আটতালা হলে অক্টা কোর। যখন আপনার একতালা ছিল ওটা সিঙ্গেল কোর আর যখন আট তালা হবে ওটা অক্টা কোর। আর এই এক রুম থেকে অন্য রুমে দূরত্বকে ন্যানো মিটার বলে। এই দূরত্ব যতো কম হবে আপনি প্রডাক ততো দ্রুত কম অন্য রুমে পাঠাতে পারবেন। আবার ন্যানো মিটার কম ও দেওয়া যাবে না আপনার দুই রুমের মধ্যে দেয়াল এতো চিকন দিলেন সেটা ভেঙ্গে পড়ে গেল এটা করা যাবে না। যদি কম দেওয়া যেত তাহলে সবাই তো কম দিতো কিন্তু কম দিলে তো ভেঙ্গে পড়ার ভয় আছে এই জায়গাটায় ভাল প্রসেসর ও নরমাল প্রসেসর চেনা যায়। এর পরে যে জিনিসটা আছে-



ভাল প্রসেসর চেনার উপায়

iPhone, OnePlus, Samsung কি করে গ্ৰীন লাইন সমস্যা সমাধান করবেন পড়তে এই লেখার ওপরে ক্লিক করুন

Samsung Galaxy F13 ফোনের বিস্তারিত পড়তে এই লেখার ওপরে ক্লিক করুন

ফ্রিকোয়েন্সি: প্রত্যেক গ্ৰুপ যে যে স্পিডে কাজ করে তাকে ফ্রিকোয়েন্সি বা গিগাহার্জ স্পিড বলে। যে কোন ফোনে যে প্রসেসর থাকুন না কেন তারা কিন্তু বলে দেয় এতে এই কয়টা কোর ও  এই কোরের স্পিড এতো। আপনার এটা খেয়াল করে দেখবেন সব কিছু লেখা থাকে। 

আরেকটা টেকনোলজি জিনিস হলো 1 গিগাহার্জ = 1 বিলিয়ন টাইমহ অর্থাৎ 1 গিগাহার্জ থাকলে সে 1 সেকেন্ড 100 কোটি বার কাজ করবে। 

বর্তমান মার্কেটে সব থেকে কম ন্যানো মিটার বা ট্রানজিস্টরের সাইজ 7 ন্যানো মিটার শুরু মাএ iPhone  এ 5 ন্যানো মিটার আছে তাই এটি অনেক ডিফারেন্ট, কয়েলিটি অনেক ভাল। Android মডেলে Qualcomm Snapdragon 888 5G যে প্রসেসরটি আছে এটা শুধু মাএ 5 ন্যানো মিটারের কিন্তু তাই নয় এই প্রসেসর টি বের হওয়ার পর Apple, iPhone 5 ন্যানো মিটারের প্রসেসর যুক্ত ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে তারা এখনো প্রথম স্থান দখল করে আছে। Apple এমন একটা প্রডাক যেতে ডাটা ড্রপ বা ডাটা মিসিংটা অনেক কম হয় বা হয় ও না এর জন্য ফোনের প্রসেসরটি দায়ি। আর এই প্রসেসর ও এর পারফরম্যান্স ভাল বলে সবার কাছে এটি প্রিয়। Apple এর প্রসেসর যে ডাটা ড্রপ বা ডাটা মিসিং হয় না এই টেকনোলজিটা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না তারা যে এই কাজটি কিভাবে করে কেউ জানতে পারিনি। Android যখন 12 ন্যানো মিটার প্রসেসর নিয়ে ব্যস্ত তখন Apple 7 ন্যানো মিটারের প্রসেসর বাজারে নিয়ে আসছে। Qualcomm Snapdragon যখন 7 ন্যানো মিটারের প্রসেসর তৈরি করছে Apple এর টেকনোলজি তখন 5 ন্যানো মিটারে চলে গেছে তারা যে এতো ফাস্ট কেউ তাদের ধরতে পারছে না। কোন কোম্পানি তাদের কাছ থেকে প্রসেসর  কিনতে পারবে না তারা এটি বিক্রি করে না। তাদের এই দ্রুত তম টেকনোলজির জন্য সবসময় নাম্বার 1 পজিশনে থাকে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

250.250

250.250