বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা পাঠান

https://www.mobilebd360.com/2023/08/blog-post_16.html


আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন। আপনারা হয়তো টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আজকের ব্লগটি কি বিষয় হতে চলেছে। বিকাশ থেকে ব্যাংকে কি করে টাকা ট্রান্সফার করতে হবে এই বিষয়ে সঠিক ধারণা নিতে যারা আমার ব্লগে আসছেন তারা সঠিক জায়গায় আসছেন। অনেক ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে আছে যেখানে আপনারা হয়তো সঠিক পদ্ধতি পাবেন না। তাই আমি আজকে বলতে চলেছি ২০২৩ সালে সঠিক পদ্ধতি কি করে আপনারা বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করবেন। আমাদের এমন অনেক সময় চলে আসে যখন ব্যাংকে টাকা রাখতে যাই বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র লাগে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা মধ্যে পড়তে হয়। আমাদের দেশে ব্যাংক গুলো ২৪ ঘন্টা সার্ভিস দিয়ে থাকে না বিশেষ করে রাতের বেলা তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। টাকার পরিমাণ বেশি হলে সেগুলো নিয়ে ব্যাংকে যেতে অনেক সময় ভয় লাগে পথে যদি কোন সমস্যা হয়। তাই এই কিছু ঝামেলা না পড়ে আপনি চাইলে ঘরে বসে ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। কোন রকম কাগজপত্র ছাড়া বাড়ি বসে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার সার্ভিসটি আপনারা বিকাশ অ্যাপে পাবেন। 

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে কি কি লাগবে:

১. আপনার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের দিয়ে খোলা সচল একটি বিকাশ একাউন্ট।

২. বিকাশ অ্যাপ।

৩. VISA কার্ড ইসলামী ব্যাংকের জন্য ( বিকাশ অ্যাপে যে ব্যাংক গুলো সাথে লিংক করা থাকবে সেগুলো টাকা ট্রান্সফার করতে কার্ড লাগবে না )

৪. আপনি যে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নাম্বার।

ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে কতো টাকা খরচ হতে পারে:

১. ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে হাজারে চার্জ কাটবে ১২.৫০ টাকা।

২. ২৫০০০ টাকার ওপরে টাকা পাঠাতে হলে তখন হাজারে ১৪.৯০ টাকা কাটবে।

চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা সোনালী ব্যাংকের টাকা ট্রান্সফার করবো।

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-১: আপনারা যখন বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করবেন তখন সর্বপ্রথম বিকাশ অ্যাপ লাগবে। আপনাদের ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ না থাকে তাহলে Play Store থেকে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করে নিবেন। এরপর সে সিমকার্ড দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলা আছে ওই সিম নাম্বার দিয়ে অ্যাপসে লগইন করবেন। লগইন হওয়ার পর ওপরের ছবির মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য এখান থেকে বিকাশ টু ব্যাংক এই অপশনে ক্লিক করবেন।

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-২: ক্লিক করার পর ওপরের ছবির মতো আপনারা দুইটা অপশন দেখতে পাবেন। বিকাশের সাথে যে ব্যাংক গুলো চুক্তি বদ্ধ বা সরাসরি লেনদেন করে সেই ব্যাংক গুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অপশনে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন। আপনি যে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করবেন সেই ব্যাংক যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অপশনে থাকে তাহলে ওখান থেকে ব্যাংক সিলেক্ট করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে টাকা পাঠাবেন। আর যদি অন্য কোন ব্যাংক হয় যেমন- সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক তাহলে দুই নম্বর অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-৩: ইসলামী ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য ভিসা ডেবিট কার্ড দরকার হবে। অনলাইনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করলে এবং তাদের কাছে কার্ডের আবেদন করলে ইসলামী ব্যাংক একটি ভিসা ডেবিট কার্ড দিয়ে থাকে, যেসকল ব্যাংক এই ধরনের কার্ড  দিয়ে থাকে সব ব্যাংকে আপনারা টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। শুধুমাত্র কার্ডে থাকা ১৬ সংখ্যা নাম্বারটি এখানে দিয়ে নিচে এগিয়ে যান অপশন ক্লিক করবেন।

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-৪: এগিয়ে যান অপশনে ক্লিক করলে ওপরের ছবিতে দেখানো এমন একটি ইন্টারফেস পাবেন। এখানে আপনি ব্যাংকে কতো টাকা পাঠাবেন সেই সংখ্যা লিখে পাশে সাইট অ্যারো অপশনে ক্লিক করবেন।

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-৫: টাকার পরিমাণ দেওয়ার পর ছবিতে দেখানো এমন একটি পেইজ পারবেন। এখানে আপনি কতো টাকা ট্রান্সফার করছেন আরো একবার দেখতে পাবেন ও পিন নম্বর দিন এই জায়গায় আপনার বিকাশের পিন দিয়ে আবারও অ্যারো অপশনে ক্লিক করবেন।

বিকাশ থেকে সোনালি ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম


ধাপ-৬: ওপরে ছবিতে দেখানো এই কাজটি সর্বশেষ কাজ এখানো আরও একবার ভালভাবে দেখে নিয়ে নিচে ট্যাপ করে ধরে রাখবেন। সব কাজ শেষ হলে ৩০ মিনিটে মধ্যে ব্যাংকে টাকা চলে যাবে এবং ব্যাংক থেকে আপনি নোটিশ পাবেন।

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার সুবিধা: 

১. ঘরে বসে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

২. আপনার টাকা নিরাপত্তার সাথে কোন রকম ঝুঁকি ছাড়া ব্যাংকে জমা হবে।

৩. কাগজপত্র কোন ঝামেলা নেই।

৪. আপনি যেকোন সময় টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।

৫. বিকাশ কোম্পানি ১০০% নিরাপত্তা সাথে এই সার্ভিসটি চালু করছে।

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার অসুবিধা:

১. আপনি ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা রাখলে একটাও খরচ হবে না কিন্তু বিকাশ থেকে টাকা জমা দিলে চার্জ কাটা হবে। (হাজারে ১২.৫০ টাকা)

২. ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিলে আপনার‌ কাছে একটা ডকুমেন্ট থাকবে যে আপনি টাকা জমা দিছেন। বিকাশ থেকে টাকা জমা দিলে কোন ডকুমেন্ট থাকবে না।

৩.  বেশি পরিমান টাকা জমা দিতে গেলে আপনি পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। কারন পার্সোনাল নাম্বার দিয়ে ২৫০০০ টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবেন না।

৪. ২৫০০০ টাকার বেশি টাকা রাখতে গেলে তখন চার্জ বেশি কাটবে। যেমন- ১ লক্ষ টাকা রাখতে ১৫০০ টাকার মতো খরচ হবে।


শেষ কথা:

আপনার যারা এই সার্ভিসটি বিশ্বাস করতে পারছেন না তাদেরকে বলি এটি বিকাশ কোম্পানি থেকে ১০০% নিরাপত্তা দিচ্ছে। তারপরেও বর্তমানে সবাই টাকা পয়সা লেনদেনের দিক থেকে খুবই সতর্ক থাকে। কেউ চায়না তার কষ্টের টাকা মার না যায়, ছিনতাই জালিয়াতি হাতে না পড়ে। আপনি যদি সল্প সময়ে টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে বিকাশের এই সার্ভিসটি ব্যবহার করতে পারবেন। আবার যদি কোন দিন টাকা পয়সা লেনদেনের নিরাপত্তা অভাব দেখা দেয় তাহলেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমাদের দেশের ব্যাংক গুলো সব সময় খোলা পাওয়া যায় না বিশেষ করে রাতের বেলায় তখন টাকা পয়সা লেনদেন খুব ঝামেলা পড়তে হয় এই কারনে আপনি বা সাধারণ জনগণ যাতে ঘরে বসে খুব দ্রুত ও সহজে ব্যাংকের সাথে লেনদেন করতে পারে তার জন্য এই সার্ভিসটি চালু করেছে।


বিকাশ থেকে ব্যাংকের সাথে লেনদেন বা বিকাশের যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য আপনারা ১৬২৪৭ বিকাশ হেলপ নাম্বারে কল করবে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

250.250

250.250