ব্লগিং করে টাকা আয়ঃ আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন এবং লেখালেখির মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এই খুব সহজেই সেটি করতে পারবেন। আপনি ব্লগিং করে লেখালেখির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু এটি কী ভাবে করবেন, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং কিভাবে শিখব, সেটি নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ব্লগিং করতে হলে কী কী প্রয়োজনঃ
আপনি ব্লগ করতে চাইলে প্রথমেই একটি ইন্টারনেট সংযোগ কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোন হবে। একটি ওয়েব সাইট প্রয়োজন হবে। বর্তমানে গুগলের একটি ফ্রি পরিসেবা ব্লগার দিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েব সাইট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকা লাগবে। সেগুলো সঠিক ভাবে জানতে পারলে আপনি একজন ভালো ব্লগার হতে পারবেন।
আরও পড়ুন – বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ও কি কি
ব্লগিং করে টাকা আয় করার সকল পদ্ধতি সমূহঃ
(১) গুগল এডসেন্সঃ
বর্তমানে বেশির ভাগ ব্লগার গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ব্লগিং করে টাকা আয় করে। এটি একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। যেটি বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন তাদের নেটওয়ার্কের সাহায্যে প্রচার করে। এটি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়।
গুগল এডসেন্স বিভিন্ন ধরনের ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দেখায়। কিন্তু যেসব ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপন দেখায় সেসব ওয়েবসাইট গুলোকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেওয়া লাগে।
আপনি চাইলেই গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে পারেন। কিন্তু আপনাকে প্রথমে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার আগে আপনাকে অবশ্যই এডসেন্স এপ্রুভ পেতে হবে। আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
এডসেন্স এপ্রুভ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট গুলো ইউনিক হতে হবে। এডসেন্স এপ্রুভ পেয়ে গেলে গুগল আপনাকে বিজ্ঞাপন দেখাবে। আর সেই বিজ্ঞাপন থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
(২) এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
কিছু কমিশনের বিনিময়ে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির পণ্য প্রচার করে দেওয়াকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এটি অনেক টা সেভ এবং আয় বেশি হয়। এখন ব্লগারদের সবথেকে পছন্দের আয়ের পথ হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমানে সবাই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে একটি কোম্পানির ওয়েব সাইটের এফিলিয়েট জোনে আপনাকে সাইন আপ করতে হবে।
এরপর প্রতিটি পন্যের জন্য আপনি আলাদা একটি ইউনিক লিংক পাবেন। সেই লিংক আপনার সাইটের মাধ্যমে প্রমোট করতে হবে। যদি ঐ লিংকের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি পণ্যটি কেনে তাহলে একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন আপনার একাউন্টে জমা হবে।
পরে আপনি সেই কমিশন কোন ব্যাংক একাউন্ট অথবা অন্য কোন মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
(৩) স্পনসরঃ
নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বিনিময়ে অন্যের পণ্য প্রচার করে দেওয়াকে স্পনসর বলে। একটি কোম্পানি সরাসরি একজন ব্লগ এর মালিককে ইমেইল করে এবং তাদের পণ্য প্রচার করার জন্য অফার দেয়। ব্লগার এই প্রস্তাবে রাজি থাকলে তার ব্লগের মাধ্যমে উক্ত পণ্যটি প্রচার করে। এখন বর্তমানে বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের পণ্যটি কোন ব্লগারকে দিয়ে স্পনসর করায়।
এটির মাধ্যমে অনেক মানুষ সেটি দেখে এবং সেই পণ্যটি কেনার জন্য আগ্রহী হয়। কিন্তু আপনার ব্লগে যদি প্রচুর ভিজিটর থাকে তাহলে স্পনসের জন্য একটি আলাদা ইমেইল ওয়েব সাইটে উল্লেখ করে দিতে পারেন। যার মাধ্যমে কোন কোম্পানি যেন সহজে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
(৪) গেস্ট ব্লগিংঃ
যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছে তাদের ওয়েবসাইটে তাড়াতাড়ি ভিজিট আনয়নের জন্য প্রচুর ব্যাকলিংকের দরকার হয়। কিন্তু এই ব্যাকলিংক যদি কোন ভালো ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া যায় তাহলে এর মান প্রচুর বৃদ্ধি পায়।
আপনার ওয়েব সাইটে ভালো পরিমাণ ভিজিটর থাকলে অনেকে আপনার সাইটে আর্টিকেল লেখার জন্য ব্যাকলিংক চাইবে। এক্ষেত্রে আপনি কিছু টাকা চার্জ করতে পারেন। আপনার সাইটে অনেক পরিমান ভিজিটর থাকলে বেশিরভাগই টাকা দিতে রাজি হবে। এবং আপনি একটি আর্টিকেল ফ্রিতে পেয়ে যাবেন।
(৫) অনলাইন শপঃ
যদি আপনার অনলাইন শপ থাকে তাহলে আপনার জন্য প্রচার করার সবথেকে ভালো মাধ্যম হলো ব্লগিং।বড় বড় মার্কেটে পণ্য প্রচার করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ব্লগিং। ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পণ্য প্রচার করতে পারবেন। ব্লগিং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়। অনেক কোম্পানি আছে যারা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সাধারণত পণ্য প্রচার করে। ভিডিও, ইমেজ, টেক্সট, ব্যানার সব ধরনের বিজ্ঞাপন ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত। আশা করছি এই ৫ টি পদ্ধতি আপনাকে ব্লগিং করা সম্পর্কে অবগত করেছে। এতোক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন।