সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ও কি কি লাগবে | Online Driving Licence Check BD

Online Driving Licence Check BD

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই লেখা। আজকের পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দিবো, কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম পুরন করতে হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম সম্পর্কে। চলুন দেরি না করে Online Driving Licence করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত দেখিয়ে দেই।

বর্তমানে আমরা নিজেদের প্রয়োজনে নানান ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে থাকি। এই যানবাহন চালানোর জন্য আমাদের অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয়। কিন্তু কিভাবে সঠিক ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সেই সম্পর্কে না জানার জন্য আমাদের মাঝে অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যেয়ে বেশ বিপাকে পড়ে যায়।

আর তাই আজকে আপনাকে ঘরে বসে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত দেখিয়ে দিবো।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংক কয়টি ও কি কি

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম | Online Driving Licence Check BD

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম, অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম, ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন কপি ডাউনলোড, ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম ইত্যাদি নানা বিষয়ে নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

তবে একটা কথা আপনাকে না বললেই হচ্ছে না, সেটি হলো, নিচে দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তাহলে খুব দ্রুত আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কয়টি পদ্ধতি | bd Driving Licence

আমাদের দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই পদ্ধতিতে করা যায়।
১. অনলাইনের মাধ্যমে ও
২. অফলাইনের মাধ্যমে।

আমরা নিচে একে একে দুই ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায় দেখাবো। তাই খুব সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আমাদের পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম | Online Driving licence Apply bd

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আমাদের লেখা পড়ে আপনি খুব ভালো ভাবে ঘরে বসে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সর আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি – Brtc Driving Licence

ধাপ ১ঃ অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে https://bsp.brta.gov.bd/  এই লিংকে ক্লিক করুন। তারপর নিচে দেখানো ছবির মত একটা জায়গায় আপনাকে নিয়ে আসবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ধাপ ২ঃ এবার নিচে ছবির মত ডান পাশে “নিবন্ধন” বাটন দেখতে পাবেন। নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ধাপ ৩ঃ নিবন্ধন বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাকে জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার এই তিনটি ঘর পুরন করতে হবে। তারপর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪ঃ এবার আপনাকে ৩০০/৩০০ সাইজের ছবি দিতে বলবে। ছবিটি আপলোড দিবেন।

এবার আপনাকে বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন যেকোন সরকারি অফিসার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট এর স্ক্যান কপি ফরমের সাথে যুক্ত করতে হবে। তবে মনে রাখবেন সবকিছু মিলিয়ে যেনো ৩০০ কিলোবাইটের বেশি না হয়।

এবার আপনি কি ধরনের লাইসেন্স করতে চান সেটি নির্ধারন করুন। আপনি কি ধরনের গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে চান সেটিও সেখানে উল্লেখ করে দিতে হবে। এবার সবকিছু নির্ধারিত করে দিয়ে নির্ধারিত ফি BRTC নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

আপনি যে নির্ধারিত ফি তাদের নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিয়েছেন সেই স্লিপটির প্রমান স্বরুপ স্ক্যান কপি জমা দিন।

এইভাবে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবে জমা দেওয়া শেষ হলে এইবার ফাইলটি অনলাইনে জমা দিন।

আমরা উপরে যে কয়েকটি ধাপ দেখিয়ে দিয়েছি, এই ধাপগুলো সঠিক ভাবে পুরন করার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করলে খুব সহজে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন।

অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি | How to get an offline driving license

অনলাইনের তুলনায় অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা অনেক বেশি ঝামেলা ও সময় সাপেক্ষ কাজ। অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা অনেক বেশি ব্যববহুলও। অনেক সময় আপনাকে দালালের হাতেও পড়তে হতে পারে। তবে আমরা নিচে যে ধাপগুলো দেখিয়ে দিয়েছি এই ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন।

অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে নিজ এলাকায় BRTI কার্যালয়ে যেতে হবে। BRTI এর হেড অফিস নাম্বার আমরা নিচে দিয়ে দিবো। সেখানে কথা বলে আপনারা আপনার এলাকার BRTI ঠিকানা নিয়ে নিতে পারবেন।

BRTI অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন যেকোনো সরকারি medical Officer কর্তৃক আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট এর একটি কপি print out করে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

এবার আপনাকে BRTA অফিস থেকে একটা নির্ধারিত ফরম দিবে। সেই ফরমটি পুরন করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরমটি অফিসে জমা দিতে হবে।

এবার আপনি যে গত তিন মাসে ড্রাইভিং শিখেছেন তার উপর একটি পরিক্ষা হবে এবং সেই সাথে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশ নিতে হবে।

উপরে যে ধাপগুলো বলা হয়েছে, এই ধাপগুলো সঠিকভাবে পুরন করার পরে আপনি যে ফরমটি জমা দিয়েছেন সেটি BRTI অফিসে জমা দিন। তারপর তারা আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখবে, আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য কিনা। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন। আর যদি কোথাও সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে সেই সমস্যার সমাধান করে আপনি আবার ড্রাইভিং লাইসেন্সর জন্য আবেদন করুন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নতুন নিয়ম 2023 Driving Licence

নবায়ন শব্দের অর্থ হলো পুনরায় আবেদন করা বা রিনিউ করা। প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সেই নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আপনাকে নতুন করে ড্রাইভিং রিনিও করতে হবে। সবসময় মনে রাখবেন, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স শেষ হওয়ার শেষ সপ্তাহর আগে রিনিউ করার জন্য আবেদন করবেন।

কারন যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করা অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। তখন আবার নতুন করে রিনিউ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আপনারা হয়ত জানেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ থাকে ৫ বছর এবং অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ থাকে ১০ বছর।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন

২. সরকারি মেডিকেল অফিসার দ্বারা আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেট

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন,পাসপোর্ট, এই কপিগুলো সত্যায়িত কপি প্রয়োজন হবে।

৪. নির্দিষ্ট ফি প্রদানের রশিদ প্রয়োজন হবে

৫. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন কাগজটি প্রয়োজন হবে।

আরো প্রয়োজন পড়বে আপনার সদ্যতোলা এক কপি পাসপোর্ট এবং এক কপিস্ট্যাম্প সাইজের ছবি।

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নতুন নিয়ম ২০২৩

অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কমপক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন। এতে আপনার খরচ হবে ২৪২৭ টাকা মাত্র।

আর আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়ার যদি পার হয়ে যায় তাহলে জরিমানা স্বরূপ ২০০ টাকা প্রদান করা লাগবে।

আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার উপরে জরিমানা স্বরূপ ২০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে সেই স্লিপটি প্রামানস্বরুপ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

BRTC অফিস কর্তৃক তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার সকল কাগজপত্রগুলো অফিসে জমা দিতে হবে।

যদি আপনার সকল কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে সেই দিনই অফিস থেকে আপনাকে হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিবে।

এরপরে আপনার সমস্ত কিছু ঠিকঠিক থাকলে আপনার মোবাইলে একটা sms পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এবং সেই sms এ আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে কবে কখন অফিস থেকে আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আসতে হবে।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নতুন নিয়ম 2023

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নতুন নিয়ম সকলে জানতে চান। কিন্তু সকলে জেনে উঠতে পারেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে এবং সেই পরীক্ষায় অবশ্যই পাস করতে হবে। যদি আপনার ১৫ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তাহলে প্রতিবছর জরিমানা স্বরূপ ২০০ টাকা দিতে হবে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার 15 দিনের মধ্যে যদি আপনিআবেদন করেন তাহলে আপনাকে 1965 টাকা BRTC অফিসে দিতে হবে।

উপরে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে নবায়ন করতে হয় সেই সম্পর্কে ও জেনেছি। আশাকরি আজকের লেখাটি আপনাদের অনেক বেশি উপকারে আসবে।

You May Also Like

About the Author: mobilebd360

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *