নতুন ব্যবসার আইডিয়া | Small Business Ideas In Bangladesh

নতুন ব্যবসার আইডিয়া

ছোট ব্যবসার আইডিয়া (Small Business Ideas in Bangla): আপনি কি লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন অল্প খরচে? যদি অল্প খরচে ব্যাবসা করতে চান, তাহলে এই কথা গুলো মনে রাখুন যে অল্প টাকায় ব্যবসা করার বহু উপায় আছে আমাদের কাছে । বর্র্তমান অনেকেই এই ছোট খাটো ব্যবসার ধারণা নিয়ে বা কাজ করে নিজের জীবন ও তাদের পরিবার চলাচ্ছেন।

ছোট ব্যবসা বলতে আমরা সেই ব্যবসা গুলিকে বুঝি যেগুলিতে অনেক কম টাকা বা পুঁজির প্রয়োজন হয়। তবে এটি অনেক লাভজনক, অল্প টাকা খরচ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।

তবে , এইটা অবশ্যই মনে রাখবেন যে, কম টাকায় ছোট ব্যবসা আরম্ভ করেছেন বলে সেই ব্যবসা সব সময় ছোট থাকবে এই রকম কোনো ব্যাপার না।

ছোট হিসেবে শুরু করা আপনার ব্যবসা একদিন না একদিন বড় ব্যবসাও হয়ে উঠতেই পারে।
তবে, তার জন্য আপনার নিজের কাজের ওপর ভক্তি, মন দিয়ে কাজ করা, তার সাথে ইচ্ছাশক্তি এবং ধর্য্য শক্তির প্রয়োজন হবে খুব।

তাহলেই, আপনি আপনার ছোট্ট ব্যবসা অনেক লাভজনক এবং বড় বানাতে পারবেন। তাহলে চলো, বেশি সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই কিছু, কম টাকায় ব্যবসা করার ছোট ব্যবসার নাম ও ছোট ব্যবসার তালিকার বিষয়ে । আমি প্রথমেই বলেছি যে এই ব্যবসা গুলি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে Start করতে পারবেন।

ছোট ব্যবসার আইডিয়া | নতুন ব্যবসার আইডিয়া | Small Business Ideas In Bangladesh

নিজের একটি ব্যবসা থাকুক এই ইচ্ছাটা বা স্বপ্ন প্রায় সবাইর থাকে।

কিন্তু, অধিকাংশ মানুষেরা ব্যবসার স্বপ্নটি পূরন করতে পারেনা টাকার অভাবে। আর এইজন্য, আমি আপনাদের ১০ টি এমন ব্যবসার বিষয়ে বলবো যেগুলো আপনি অনেক কম খরচে আরম্ভ করতে পারবেন এবং আপনার নিজের যে একটি business এর স্বপ্ন এখন আর স্বপ্ন হয়ে থাকবেনা সেটি বাস্তবতাই রুপ ‍নিবে।

আপনার কাছে যতটাই টাকা আছে তা দিয়েই আপনি একটি ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ, অল্প টাকায় কি কি ব্যবসা করা যায়, কোন ব্যবসাটা বেশি লাভের ব্যবসা বা কোনটা ভালো ব্যবসা তার ১০ টি ধারণা আমি নিচে বলবো। যদি আপনি সকাল ৯ থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্র্যন্ত office job করছেন তাহলে নিচে দেয়া business idea গুলির দ্বারা part-time business বা আয় করতে অবশ্যই পারবেন।

এবং, যদি আপনি একজন student বা job করছেন এবং কিন্তু আপনি নিজের একটি ব্যবসা কম পুঁজিতে start করতে চাচ্ছেন, তাহলে, নিচে দেওয়া ব্যাবসা গুলির মধ্যে যেকোনো একটি আপনি করতে পারেন। আমি ১০ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার সম্মন্ধে বলছি যেগুলো আপনি অনেক কম টাকায় বা অল্প পুজি দিয়ে যেকোনো সময় আরম্ভ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন – টেলিটক নাম্বার দেখার উপায় ও কোড

লাভজনক ১০ টি ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া –10 Small business ideas in Bangladesh

১. মোবাইল রিপেয়ারিং (mobile repairing) ব্যবসা:

আজ এমন কোনো মানু্ষ নাই যার কাছে মোবাইল ফোন নাই৤ আর, এই স্মার্টফোন ফোন বা মোবাইল ফোন গুলি খারাপ অবশ্যই হয়।
তাই, আপনি যদি মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে তারপর আপনি নিজে একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে বসতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই লাভবান হতে পারবেন।

কারণ, মানুষ মোবাইল ফোন কিনবেই আর মোবাইল যেহেতু একটা electronic device তাই খারাপতো হবেই একসময় এবং মানুষ আপনার কাছে আসবেই ফোনটি রিপেয়ার করতে।

মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শুরু করতে আপনার অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন হবেনা। আপনার প্রথমে একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর course মনোযোগ ‍দিয়ে করতে হবে যার জন্য আপনার ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে। এবং, এই কাজটি বা কোর্সটি করতে আপনার বেশি পয়সারও প্রয়োজন নেই।

কেবল ৩ থেকে ৫ হাজারে টাকার ভিতরে এই course টি করা যায়। আবার আপনি YouTube এ ভিডিও দেখেও ফ্রি তে mobile repairing এর কাজও শিখতে পারবেন। এখন রইলো দোকান, নিজস্ব মোবাইল রিপেয়ারিং ব্যবসার জন্য আপনার একটি দোকানের প্রয়োজন হবেই।

এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার বেশি বড় দোকানের প্রয়োজন হবেনা। কেবলমাত্র নিজের কাজ টুকু করার জন্য এবং জিনিস পত্র গলো রাখার মতো একটি ছোট্ট দোকান নিলেই হবে। তাই, এর জন্যও আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না।

এখন, course করার পর বা কাজ শেখার পরেও , দোকানে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য আপনার টাকার প্রয়োজন হবে। Mobile repairing এর কাজ করার জন্য আপনার প্রথমে অনেক যন্ত্রপাতি দরকার নাই , কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে, যেগুলি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার ভিতরে নেওয়া যাবে।

তাই বলা যায় যে, এই ব্যাবসাটি আপনি ১০ হাজার টাকার ভেতরে আরম্ভ করে অনায়াসে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই ছোট ব্যবসাটি আপনাকে প্রচুর ইনকামের সুযোগ করে দিতে পারে যদি আপনার ইচ্ছা থাকে।

২. ফুলের দোকানের Business (flower shop):

আজকাল অনেক ব্যবসা আছে যে গুলা তাড়াতাড়ি সফল হয় , এই ব্যবসা গুলা unique এইগুলা মাকেটে চাহিদাতো আছে কিন্তু এর দোকান খুব কম আছে মাকেটে।

এর মধ্যে অন্যতম হলো ফুলের বিক্রির ব্যবসা এই ব্যবসার চাহিদা অনেক রয়েছে কিন্তু এই ব্যবসা খুব কম লোকেরা করছেন, তাই, আপনি বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ এবং ফুল নিয়ে বিক্রি করতে পারেন যেকোনো জায়গায়।

এখন মানুষ বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোনো উপলক্ষে ফুল গাছ বা ফুল দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া দিয়ে অনেক ভালো বসেন। আর তাই, এই ধরনের উপহার এখন অনেক জনপ্রিয়।

আপনি, অনেক কম টাকা লাগিয়ে একটি flower shop খুলে তাতে অনেক রকমের ফুল গাছ , ফুল এবং সেই ফুল ‍দিয়ে ফুলের তোড়া বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন।

এই ব্যবসাটি অনেক কম লোকেরা করে আর এর চাহিদাও অনেক বেশি ফলে এতে আপনি কম সময়ে সফল হতে পারবেন সঙ্গে অনেক মুনাফাও অর্র্জন করতে পারবেন। ফুলের দোকান এর business টি করতে আপনার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবেনা।

আপনার, কেবল একটি ছোট্ট দোকান নিতে হবে এবং বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফুল গাছ নিয়ে বসতে হবে। বাকিটা আপনার হাতের কাজের নিপুনতা এবং আপনার বুদ্ধির ওপরে নির্ভর করবে। প্রতিটি ফুলের তোড়া আপনি আপনার মনের মতো করে বানিয়ে বিক্রি করবেন।

এক সময় দেখবেন, এই ফুলের দোকানের ব্যবসা অনেক কম টাকাতে অনেক লাভের ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে।

৩. অনলাইন শপিং বা ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসাঃ

আজ এই অনলাইনের যুগে বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কেনা কাটা করতে ভালো বাসে তাদের পছন্দ মতো। কারণ, online shopping ওয়েবসাইটে অনেক কম খরচে ভালো জিনিস পাওয়া যায় এবং জিনিসগুলা অডার করলে লোকেরা ঘরে বসেই সেই গুলা পেয়ে যায়।

এই ব্যবসা যদি আপনি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি অল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই, আপনি যদি কম খরচে অনেক লাভের ব্যবসা করতে চান, তাহলে অনলাইন shopping store বা shopping website বানাতে পারেন। শপিং ওয়েবসাইট বানাতে আপনার অনেক বেশি টাবা খরচ হবেনা।

আপনি নিজের মনের মতো করে একজন website developer কে দিয়ে ১০ হাজারে একটি শপিং স্টোর বানিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া, আপনি নিজেই WordPress এর মাধ্যমে একটি ফ্রি শপিং ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।

WordPress এর দ্বারা একটি ফ্রি online shopping website কিভাবে বানাবেন তা জানার জন্য আপনি YouTube এ গিয়ে একটা ভিডিও দেখেও শিখতে পারবেন। নিজের অনলাইন shopping ওয়েবসাইট তৈরীর আগে অবশ্যই আপনার একটা ভালো product এর বেপারে ভাবতে হবে।

মানে, আপনি অনলাইন কি কি বিক্রি করতে চান, তার সম্পকে আগেই ভেবে নিতে হবে। আপনি শুধুমাত্র একটি না অনেক সামগ্রী (product) নিজের অনলাইন স্টোরে বিক্রি করতে পারবেন।

শুধুমাত্র এতটুকু মনে রাখবেন যে, আপনি যেসব সামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তার চাহিদা থাকতে হবে মানুষের কাছে এবং সেই সামগ্রীতে লাভও থাকতে হবে। এর বার আপনার একমাত্র দায়িত্ব এই যে, অল্প marketing এবং নিজের বুদ্ধি লাগিয়ে আপনি নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে সুন্দরভাবে প্রচার করতে হবে।

আজ অনলাইনে সামগ্রী বিক্রি করে , flipkart, amazon এবং snapdeal এর মতো shopping ওয়েবসাইট গুলো আজ কোটি কোটি টাকা কমিয়ে নিয়েছে।

তাই, আপনিও যদি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে বেশি লাভবান হতে চান তাহলে এটি অন্যতম একটি ব্যবসা৤
যদি আপনি চান তাহলে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের দ্বারা জিনিস বিক্রি করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারেন।

আপনি এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে যদি জানতে চান তাহলে, YouTube এ গিয়ে ভিডিও দেখে এই business এর ব্যাপারে সবকিছু জেনে নিতে পারেন।

বতমান যুগে, এই online শপিং ওয়েবসাইটের ব্যবসা আপনার জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে দেখা দিতে পারে।

৪. Blogging দ্বারা অনলাইন ব্যবসাঃ

আপনি যদি অনলাইনে business করতে চান তাহলে blogging বিজনেস আপনার জন্য অনেক ভালো একটি বিজনেস। আজ, লক্ষ লক্ষ মানুষেরা কেবলমাত্র একটি ব্লগ বানিয়ে নিজের ঘরে বসে কাজ করে অনেক টাকা আয় করছেন।

কেবলমাত্র টাকা আয় করাটাই বড় কথা নয়, কিন্তু আপনি blogging এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে একটা বড় রকমের আয় করতে পারবেন। আর, যদি আপনার করা ব্লগগুলো লোকেদের ভালো লাগে এবং ব্লগ টি যদি success হয়ে যায়, তাহলে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে কতটা ইনকাম হবে আপনার।

আসলে, Blogging করাটা অনেক সোজা যদি আপনি সেইটা মনোযোগ দিয়ে এবং ভালোভাবে করতে পারেন। আপনার একটি ব্লগ বানাতে হবে যেটা আপনি blogger ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজে ও ফ্রি তে বানিয়ে নিতে পারবেন।

তারপর আপনার নিজের ব্লগের আর্টিকেল লিখতে হবে খুব ভালোভাবে। আপনি যেকোনো কিছু লিখতে পারেন ,যেকোনো বিষয়ে লিখতে পারেন যেটা মানুষ পছন্দ করবে। আপনি যখন সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল নিজের ব্লগে লিখে আনার ওয়েবসাইটে ছাড়বেন তখন google এবং yahoo মতো সার্চ engine থেকে আপনার ব্লগে ট্রাফিক আসবে।

আর, যখন আপনার ব্লগে traffic বা visitors আসতে শুরু করবে তখন Google AdSense এর দ্বারা নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আজ বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ Google AdSense এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছে। Blogging business যে কেউ করতে পারে।

আপনি যদি student, housewife, retired বা part-time টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনি ব্লগ বানিয়ে তাকে business হিসেবে part-time বা full-time করতে পারবেন। এতে আপনার খুব বেশি টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি এই অনলাইন ব্যবসাটি কোনো খরচ ছাড়াই আরম্ভ করতে পারবেন।

৫. YouTube চ্যানেল দ্বারা ব্যবসা

যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তাহলে YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভালো ভালো কন্টেন্টের উপর ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে চ্যানেলে ছেড়ে তাকে একটি ভালো business হিসেবে নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে আপনি ঘরে বোসে টাকা আয় করতে পারবেন।
এই business এ আপনি কোনো খরচ ছাড়াই শুরু করতে পারেন।

শুধুমাত্র, আপনার নিজের ট্যালেন্ট এবং ভালো ভালো ভিডিও বানানোর কন্টেন্ট ও যোগ্যতা থাকতে হবে।
YouTube চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করে এখন মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
কিন্তু এইটা অবশ্যই মনে রাখবেন এই ব্যবসা থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনার কিছু সময় দিতে হবে।

আপনি যদি অল্প সময় দিতে পারেন, ভালো ভিডিও বানিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম করার chance হয়ে উঠবে।

আর, তারপর থেকে আপনি একটা ভালো ও মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

৬. মোবাইল রিচার্জের (Recharge) দোকানঃ

যদি আপনি অনেক কম খরচে ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনি একটি ছোট্ট মোবাইল রিচার্জ বা ফ্লাক্সিলোডের দোকান দিতে পারেন।

বর্র্তমান, এমন কোনো মানুষ নাই যে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে না। আর মোবাইল ফোন যেহেতু ব্যবহার করে তাই তারা অবশ্যই কোনো SIM ব্যবহার করে আর সিম যেহেতু ব্যবহার করে তাই তারা রিচার্র্জ অবশ্যই করবে।

তাই, আপনি ফ্লাক্সিলোডের এই business টি অনেক কম খরচে এবং অনেক ছোট দোকান নিয়ে আরম্ভ করতে পারবেন।

আপনার এই ফ্লাক্সিলোডের দোকানটি দিতে সব্বোর্র্চ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
ফ্লাক্সিলোডের পাশাপাশি আপনি সব সিমের রিচার্র্জ কার্র্ডও রাখতে পারেন ,এতে আপনার extra ইনকাম হবে।

এছাড়াও, বিভিন্ন বিল জমা করাতে পারেন তারপর মোবাইলের cover, head phone এবং মোবাইলের কিছু মাল পত্র (accessories) আপনার দোকানে রাখতে পারেন। যখন ইনকাম হওয়া শুরু হবে তখন কিছু মোবাইল এবং মোবাইলের অন্য মাল পত্র দোকানে রাখা শুরু করেদিবেন।

৭. Ice-cream parlor এর দোকানঃ

আজকাল অল্প খরচে ব্যবসা করার আইডিয়া ভরে রয়েছে। এরমধ্যে একটা ছোট ব্যবসা হলো ice-cream parlor এর দোকান দেওয়া। মাকেটে এর চাহিদা অনেক।

বতমান যুগের মানুষ নিজের কাজ কর্ম এবং পড়া-শোনা নিয়ে ভিষণ ব্যস্ত হয়ে থাকে সবসময়।
তাই, তারা যখন সময় পায় ice-cream parlor এর মতো খোলা মেলা জায়গায় যেতে বা বসে থাকতে ভালো বাসেন যেখানে অল্প সময় বোসে তারা নিজের মাথা এবং মন তাজা (fresh) করতে পারে।

আপনাকে এমন একটা জায়গা খুঁজতে হবে যেখানে লোকের আশা যাওয়া বেশি হবে এবং অবশ্যই সেই জায়গাটি শান্ত পরিবেশপূর্ন হতে হবে। আবার,আপনি কোনো স্কুল-কলেজ, মার্কেট এরকম জায়গায় একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে তাতে ice-cream parlor খুলতে পারেন।

মনে রাখবেন যে সেইখানে এতটুকু জায়গা হতে হবে যে লোক এসে বসতে পারেন কোনো restaurant এর মতো। এরপর আপনি দোকানে ভালো ভালো ice-cream এনে রাখুন এবং নিজের গ্রাহকদের খাওয়ান।
যখন মানুষ আপনার এই parlor এ এসে বসবে এবং ice-cream খাবে ও খেয়ে ভালো লাগবে তাদের তখন তারা বার বার আপনার দোকানে আসবে।

Ice-cream parlor ব্যবসা করতে আপনার কেবলমাত্র একটি ভালো জায়গায় একটি দোকান নিতে হবে এবং ice-cream রাখার জন্য একটি fridge নিতে হবে। এর বাইরে লোকেদের এসে বসার জন্য কয়েকটি table এবং chair ও রাখতে হবে।

এগুলো কিনতে আপনার খুব বেশি টাকা খরচ হবেনা এবং কম টাকা দিয়ে আপনি এই বিজনেসটি start করতে পারবেন পরে এতে অনেক লাভবান ও হতে পারবেন।

৮. Fast food truck / stall:

বর্র্তমান মানুষেরা ঘরের বাইরে tasty বা সু-স্বাধু খাবার (fast food) খেতে অনেক ভালো বাসে।
তাই, এই fast food এর ব্যবসা আজকাল অনেকটাই লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে এবং আপনি এই ব্যবসাটি অনেক কম খরচে দিয়ে আরম্ভ করতে পারবেন।

আপনি নিজের একটা ছোট্ট দোকান বানিয়ে সেই দোকানে আপনি অনেক রকমের মোমো, চাওমিনে, চপ, পাও ভাজি, ধোসা, ঘুগনি, কফি আরও বিভিন্ন ধরনের আদি খাবার লোকেদের খায়িয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই ব্যবসাটি আপনি অনেক কম টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।
আপনার শুধু খাবার বানানোর জন্য কিছু জিনিস পত্র লাগবে এবং একটি কারিগর যে খাবার বানাবে কিনবা আপনি নিজেও খাবার বানাতে পারেন যদি খাবার বানাতে পারেন । তারপর আরও একটি কাজও করতে পারেন একটি দোকান বা truck (খাবারের গাড়ি) যেটা দিয়ে আপনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে লোকেদের খাবার খাওয়াতে পারবেন।

এইটা মনে রাখবেন যে, আপনি যদি এই fast food খাবারের ব্যবসাটি একটি দোকান নিয়ে করেন তাহলে কেবলমাত্র একটি জায়গা থেকে লোক বা (customer) আসবে। আর, যদি আপনি এই ব্যবসাটি একটি ছোট্ট ট্রাক (truck) এরমধ্যে শুরু করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজের খাবার গুলো বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে লোকেরা আপনাকে বেশি করে চিনবে জানবে যার ফলে আপনার খাবার বেশি বিক্রি হবে।

৯. Xerox এবং printing store:

আপনি যদি এমটা ভাবছেন যে অনেক কম পুঁজিতে কি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে, তাহলে Xerox এবং printing এর একটি দোকান দেয়ার কথা ভাবতে পারেন।

আজকাল লোকেরা তাদের অফিসের বিভিন্ন কাজের জন্য ও স্টুডেন্টরা তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য Xerox এবং প্রিন্টিং এর দোকান খোঁজে।

স্কুলের বাচ্চাদের বিভিন্ন এসাইমেন্ট এবং অফিসে কাজ করা লোকেদের অনেক রকমের project থাকে এবং তারা দোকানে গিয়ে তাদের বানানো project গুলো print করেন। তাই, এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি ভালো একটা টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি করতে আপনার বেশি টাকা লাগবে না।
এটি করতে আপনার শুধুমাত্র ছোট্ট একটি দোকান, একটি computer, printer এবং Xerox মেশিনের প্রয়োজন হবে।

তারপর আপনার দোকানে customer যত আসতে থাকবে আর আপনি কাজও তত পাবেন ফলে আপনার আপনি ভালোরকম টাকা আয় করতে পারবেন।

১০. Tuition Class

আপনি যদি পড়ালেখা ভালো পারেন তবে আপনি Tuition করাতে পারেন আর এটাকে আপনি নিজের একটি professional career ও বানিয়ে নিতে পারেন।

আবার, Tuition বলতে শুধু পড়াশোনা নয়, আপনি যদি গান শিখাতে চান গান শিখাতে পারেন, drawing শিখাতে চান ড্রয়িং শেখাতে পারেন, guitar বা যেকোনো বাজনা (instrument) শিখাতে চান, আপনি এগুলো tuition এর মাধ্যমে শিখাতে পারেন।

এই tuition profession টি আপনি তখন একটি career হিসাবে নিতে পারবেন যখন এইটা বড়োভাবে করা যাবে।

তাছাড়ও আপনি একটা (room) নিয়েও সেইটা tuition centre বানিয়ে নিয়ে তাতে class করাতে পারেন।
এইভাবে tuition কে আপনি আপনার career বানিয়ে তা থেকে আপনি ভালো রকম টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এখানে আপনার বেশি টাকার প্রয়োজন ও নেই শুধুমাত্র আপনার ট্যালেন্ট এর দরকার যেকোনো বিষয়ে আর দরকার একটা ঘরের আপনি একটি ঘর (room) নিবেন যেটা আপনার ৫০০০ টাকার ভিতরে এসে যাবে বাকিটাতো আপনি যা নিজে জানেন তা students দের শিখবেন।

You May Also Like

About the Author: mobilebd360

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *